সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর শুরুর কথা

 

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকঃ কবি মতিউর রহমান মল্লিক

বাংলাদেশ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা একটি দেশ। এ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই মুসলমান। এদেশের মানুষের প্রাণের সংস্কৃতি শাশ্বত ইসলামী মূল্যবোধের সংস্কৃতি। আদর্শ এই সোনালী সংস্কৃতির উচ্চকিত চেতনা ছড়িয়ে দিতে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন "সাইমুম"।বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক মীর কাসেম আলীর তত্ত্বাবধানে তরুণ কবি,সুরস্রষ্টা, গীতিকার ও শিল্পী মতিউর রহমান মল্লিকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে সত্য ন্যায়ের তূর্যবাদক এই সংগঠন। মননশীল সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার শুভার্থী মিয়া মোহাম্মদ আইয়ুব এর নাম দেন "সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী"। বাংলাদেশে ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ সংগঠন হিসাবে সাইমুমের নাম সর্বজনবিদিত। সংগঠনটি বর্তমানে ৬টি বিভাগীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন করে চলছে। বিভাগগুলো হচ্ছেঃ সংগীত, থিয়েটার, শিশু,কিশোর, তেলাওয়াত, শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি বিভাগ।প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বহু জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি এই সংগঠনটি পরিচালনা করে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মতিউর রহমান মল্লিক, আসাদ বিন হাফিজ, মাওলানা তারেক মনোয়ার, সাইফুল্লাহ মানসুর, শরীফ বায়েজীদ মাহমুদ অন্যতম।সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ছায়াতলে গড়ে ওঠা বহু সাংস্কৃতিক কর্মী জাতীয়ভাবে ভূমিকা রেখে চলছেন। তাদের অনেকেই খ্যাতিমান হয়েছেন নিজ নিজ অঙ্গনে, তাদের মধ্যে রয়েছেন কবি,সাহিত্যিক, কণ্ঠশিল্পী ক্বারী, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা আবার কেউ বা সংগঠক। এছাড়াও ইসলামী চিন্তাবিদ, আবৃত্তিকার, নাট্যনির্দেশক, উপস্থাপক, সাংবাদিক, অনুষ্ঠান নির্মাতাসহ মিড়িয়া অঙ্গনের নানা দিকে ছড়িয়ে আছে এই সংগঠনের গড়া বহু কর্মী। অডিও-ভিজুয়াল প্রকাশনার জগতেও সাইমুমের অর্জন কম নয়। ৪০ বছরের পথচলায় সাইমুম গান, অভিনয় ও কবিতার সমন্বয়ে অডিও ও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে প্রায় ৭০ টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে । মঞ্চস্থ করেছে ৩০ টিরও বেশি জনপ্রিয় মঞ্চনাটক। এছাড়া এই দীর্ঘ পথচলায় সাইমুম উপহার দিয়েছে ৩০ বছর পূর্তি স্মারক ও মল্লিক স্মারকের মতো বর্ণাঢ্য প্রকাশনা।"সাইমুম পরিচিতি"

More information

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads